No products in the cart.
কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে এড়িয়ে চলুন কিছু খাবার

বর্তমানে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসই এর ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও রান্নার পদ্ধতি কোলন ক্যানসারের জন্য দায়ী রাসায়নিক উপাদান তৈরি করে। তাই সুস্থ জীবনযাপনের জন্য খাবার বাছাইয়ে সচেতন হতে হবে।
মাছ-মাংস রান্নার ক্ষেত্রে
মাছ বা মাংস উচ্চ তাপে ঝলসানো বা ভাজার সময় হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনস ও পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। এগুলো ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই মাছ-মাংস ঝলসানো বা ফ্রাই না করে ঝোল বা কম তাপে রান্না করে খাওয়াই নিরাপদ।
তেলে ভাজা ও বারবার ভাজা খাবার
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস, ক্র্যাকার বা তেলে ভাজা বিস্কুটের মতো খাবারে অ্যাক্রিলামাইড তৈরি হয়, বিশেষ করে যখন খাবার একাধিকবার ভাজা হয়। এই রাসায়নিক পদার্থ পরিপাকতন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
স্টার্চি খাবার
আলু বা শর্করাজাতীয় খাবার ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপে ভাজার সময় অ্যাক্রিলামাইড তৈরি হতে পারে। তাই আলুভাজা বা বারবার ভাজা স্টার্চি খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে।

প্রক্রিয়াজাত মাংস
সসেজ, হ্যাম, বেকন, হটডগ ইত্যাদিতে থাকা নাইট্রেট ও নাইট্রাইটস উচ্চ তাপে নাইট্রোসামাইন তৈরি করে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই প্রসেসড মাংস এড়িয়ে চলা জরুরি।
কীটনাশকযুক্ত খাবার
সবজি ও ফলে ব্যবহৃত অর্গানোফসফেটজাত কীটনাশক ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের কারণ হতে পারে। তাই খাবার ভালোভাবে ধুয়ে ও নিরাপদ উৎস থেকে কিনে খেতে হবে।
অ্যালকোহল
অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরে অ্যাসিটালডিহাইড তৈরি করে, যা ডিএনএ ক্ষতি করে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই অ্যালকোহল ও অ্যালকোহলসমৃদ্ধ পানীয় পান থেকে বিরত থাকা উচিত।